গাজা উপত্যকায় "সম্পূর্ণ অবরোধ" করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। অর্থাৎ কোন খাবার, জ্বালানি বা কোন পণ্য প্রবেশ করতে পারবে না অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে।
তিনি আরও জানান, অবরুদ্ধ গাজাতে বিদ্যুৎ ও পানির লাইন বন্ধ করে দেবে ইসরায়েল, পাশাপাশি প্রবেশ করতে দেয়া হবেনা খাদ্য ও জ্বালানিসহ যেকোন পণ্য। খবর বিবিসি নিউজ ও এপি।
এর আগে ২০০৭ সালে হামাস প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিনি বাহিনীর কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করার পর থেকে ইসরায়েল এবং মিশর গাজার উপর বিভিন্ন স্তরের অবরোধ আরোপ করেছে।
অন্যদিকে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং হামাসের মধ্যে আর কোন লড়াই চলছে না বলে জানিয়েছে দেশটির ডিফেন্স ফোর্সের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডএম ড্যানিয়েল হাগারি।
সোমবার সকালে সাংবাদিকদের তিনি জানান, “আইডিএফ গাজা উপত্যকার আশেপাশের সমস্ত সম্প্রদায়ের নিয়ন্ত্রণ পুনরায় নিয়ে নিয়েছে। বর্তমানে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে কোন যুদ্ধ হচ্ছে না।“
তবে ইসরায়েলে এখনও হামাসের যোদ্ধারা লুকিয়ে থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
এদিকে হামাসের যোদ্ধাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বেড়ার সীমান্তে ইসরায়েলি ট্যাংক এবং ড্রোন দিয়ে পাহারা দেয়া হচ্ছে বলে জানান হাগারি। তিনি বলেন, সীমান্তে অবস্থিত ২৪টি সম্প্রদায়ের মধ্যে ১৫টি সম্প্রদায়কে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, বাকিদেরকেও পরবর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হবে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর টুইট করা একটি ভিডিওতে মুখপাত্র জোনাথন কনরিকাস বলেছেন, "আমরা নিশ্চিত করবো যে হামাস আর ইসরায়েলকে হুমকি দেওয়ার মতো সামরিক সক্ষমতা থাকবে না। পাশাপাশি, আমরা নিশ্চিত করব যে হামাস আর গাজা উপত্যকায় শাসন করতে সক্ষম হবে না।"
গাজার আকাশ পথ ও সৈকত ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে। সেখানে কোন কোন ব্যক্তি যেতে পারবেন এবং কী কী পণ্য ঢুকতে পারবে, সে বিষয়ে বিধিনিষেধ রয়েছে ইসরায়েলের। একইভাবে গাজা সীমান্তে লোকজনের আসা–যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে মিশর।